মোখলছেুর রহমান

কথা কাটাকাটির জের ধরে সোমবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপের মধ্যে থেমে থেমে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয় গ্রুপের চার কর্মী আহত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনার সূত্রপাত ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে চবি ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর টিপুর অনুসারীরা সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ফজলে রাব্বি সুজনের অনুসারী ও সমাজত্ব বিভাগের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাসুমকে মারধর করে। এ ঘটনা জানাজানি হলে সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থান করা সভাপতি গ্রুপের অনুসারী ও ইতিহাস বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেনকে বেধর মারধর করে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা।
এদি
কে এঘটনার পর সভাপতি গ্রুপের অনুসারীরা শাহজালাল হলে এবং সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা শাহ আমানত হলে অবস্থান নেয়। এসময় উভয় গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা দাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় সভাপতি গ্রুপের অনুসারী ও ইতিহাস বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এনাম চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী ও আইন বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মির্জা কবির আহত হয়। পরে পুলিশ আট থেকে দশ রাউন্ড টিয়ারশেল ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে তাদের চবি মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
চবি ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর টিপু বলেন, লাইব্রেরীর সামনে রেজাউল করিকে মারধর করে। পরে আমরা এ বিষয়টি সমাধান করতে বসলে সোহরাওয়ার্দী হলে অব
স্থান করা আমাদের এক কর্মীকে মারধর করে সাধারণ সম্পাদকের কর্মীরা। পরে আমাদের দুই কর্মী আহত হয়। তবে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
চবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ফজলে রাব্বি সুজন বলেন, যখন চবি ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে ঠিক তখনই ছাত্রলীগে ঘাপটি মেরে থাকা শিবিরের এজেন্ডারা এ ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনার সাথে যদি আমাদের কেউ জড়িত থাকে তাহলে তাদেরকে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা হবে।
হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ইসমাইল সাংবাদিকদের বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন আনতে আট /দশ রাউন্ড টিয়ারশেল ছোড়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। দুই হলের সামনেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। ‘শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য যা যা করণীয় আমরা তাই করব।
উল্লেখ্য, এ ঘটনার পর থেকে বিশ্ববিদ্যলয়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ